নিজের কাজ নিজে করার আনন্দ অনেক
আপনি কোন কাজ টা করতে ভালোবাসেন সেটা খুজে বের করুন কাজ টা যতই ছোট হোক নিজের উপর বিশ্বাস রেখে আর কাজ কে ভালোবেসে এগিয়ে যান। দেখবেন এই ছোট কাজ টা আপনাকে বড় কাজ করার সাহস বাড়িয়ে দিবে। তখন আপনি বড় বড় কাজ করে সলফতা অর্জন করে আসেছেন। নিজের কাজের মধ্যে আনন্দ আছে সফলতা আর ব্যর্থতা হলো আল্লাহর উপর । ব্যর্থ হলেও অনেক কিছু শিক্ষতে পারবেন।
আর অন্যের সহযোগিতায় সফলতা হলেও মনে তৃপ্তি পাবেন না। কোন না কোন ভাবে পিছনের লোকটাই আনন্দ পাবে আর নিজেকে ছোট মনেএকটা গল্প বলি আমি ক্লাস Eight এর ছাত্রী ছিলাম, তখন আমাদের ক্লাসে টেইন এর ভাইয়ারা আসল কোইজ প্রতিযোগিতার প্রশ্ন নিয়ে। তখন সবার হাতে প্রশ্ন দেয়া হলো আর বলা হলো কাল উত্তর লিখে নিয়ে আসবে । যে ফাস্ট হবে তাকে ডিকশনারি দিবো আর ২য়, ৩য় তাদের গল্পের বই দিবো। তখন আমি মনে মনে ফাস্ট হওয়ার সপ্ন দেখলাম।প্রশ্ন গুলো কঠিন ছিল কিছু টা , যাইহোক পরের দিন সকালে মাদ্রাসায় গিয়ে শুনি অনেকেরই কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তর লেখা বাকি আছে তবে আমি সব উত্তর লিখেছি।
ক্লাসে ব্যাগ রেখে বাহিরে গেছি তার কিছুক্ষন পড়ে ক্লাসে ডুকে দেখি আমার এক ফ্রেন্ড আমার ব্যাগ থেকে প্রশ্নোত্তর নিয়ে উত্তর লিখতেছে এই ব্যাপারটা দেখে খুব রাগ হলো আমার মনে হচ্ছে এখনি নিয়ে ছিড়ে ফেলি। তখন তাকে বললাম সব ঠিক সে বলল আমার তো বেশি উত্তরই ভুল ছিল ভালো হইলো তোমার কাছ থেকে দেখে লিখেনিয়েছি। পরে আমার পেইজ টা নিয়ে বাহিরে গিয়ে ছিড়ে ফেলে দিয়ে আসছি । ক্লাস শুরু হ্ইয়ে গেল ২য় ক্লাসে ভাইয়ারা এসে প্রশ্নোত্তোর নিয়ে গেল। তারপর টিফিন আওয়ারে ভাইয়ারা এসে প্রথম, ২য়, ৩য় ঘোষণা দিল। আমার ঐ ফ্রেন্ড টা প্রথম হলো আর ২য়, ৩য় ছেলেরা হয়েছে। আমার ফ্রেন্ড টা আমার কাছে জানতে চাইছে আমি তোমার কাছ থেকে দেখে লিখে প্রথম হলাম তুমি তো কিছুই হলে না।আমি বললাম আমি প্রথম হলে কি তুমি হতে পারতে এ প্রাইজ পাইছে ঠিকই কিন্ত সে মন থেকে খুশি হতে পারেনি।
আমার অন্য ফ্রেন্ডরা সবাই যানতো ব্যাপার টা তাই তাকে বলতো তুমি তো তোমার অভিজ্ঞতায় প্রথম হওনি। এই গল্প বলার একটাই কারণ সে যদি নিজে থেকে লিখে পাশ করতো কত আনন্দ পেত সবাই তাকে বাহ বাহ দিত, তাই আমরা যা কিছুই পারি নিজে নিজের অভিজ্ঞতায় বড় হবো তাতে আনেক আনন্দের।