Your cart
  • IMG
    {{cart_item.name}}
    {{cart_item.variation_attribute_name}}: {{cart_item.variation_attribute_label}}
    {{cart_item.item_unit}}: {{ setCurrency(cart_item.price)}}
    {{ setCurrency(cart_item.price*cart_item.quantity)}}
    Invalid quantity more than stock
Total :
{{setCurrency(cart.sub_total)}}

There is no item in the cart. If you want to buy, Please click here.

রামাদান ২৪- কুফুর কি, কুফুর কত প্রকার

৩০ দিনের ৩০ টি বিষয়ের সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যমে ইসলামকে জানা - রামাদান ২০২১

Created by :
রামাদান
tutorial
Religion Spirituality
1426
2021-04-14 09:42:14

কুফুর শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো, ঢেকে দেয়া। গোপণ করা।

ইসলামের পরিভাষায়: - ঈমানের বিপরীতকেই কুফুরী বলে।

যেমন, আল্লাহকে বিশ্বাস করা, নবী- রাসূল বিশ্বাস করা হল ঈমান। তাই আল্লাহ ও তার রাসূলকে বিশ্বাস না করাই কফুরী।

অনুরূপ যা যা বিশ্বাস করা ঈমানের পরিচয়ায়ক, তা তা বিশ্বাস না করাই হলো কুফুর!

কুফুর ২ প্রকার। বড় কুফুর ও ছোট কুফুর।

বড় কুফুর ৫ প্রকার। যথা:

১ম প্রকার- আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল, কুরআন ও হাদীছ সহ দ্বীনের কোন বিষয়কে মিথ্যা মনে করলে। - (সূরা আনকাবূত: ৬৮-৬৯)

২য় প্রকার: বিশ্বাস থাকা সত্যেও অহংকার করে না মানলে।

৩য় প্রকার: সন্দেহ ও সংসয় পোষণ করা।

৪র্থ: মুখ ফিরিয়ে নেয়ার মাধ্যমে বড় কুফুরী।

৫ম: মুনাফিকীর মাধ্যমে বড় কুফুরী:

বড় কুফুর বা চূড়ান্ত কুফুর; যা একজন মুসলিমকে ইসলাম ধর্ম থেকে বের করে মুর্তাদ বানিয়ে দেয়।


ছোট কুফুর:

এটি বিশ্বাসগত নয়; কর্মগত কুফুরী। পবিত্র কুরআন ও সহীহ সুন্নাহয় উহাকে কুফুরী নামে আক্ষ্যায়ীত করা হয়েছে কিন্তু অপরাপর দলীল-প্রমান থেকে বুঝাযায় যে উহা বড় কুফুরীর পর্যায়ের নয়। যেমন রাসূল স. বলেন: ‏(‏سباب المسلمِ فُسوقٌ، وقتالُه كفر‏)‏ মুসলিমকে গালি দেয়া ফাসেকী আর তার সাথে লড়াই করা বা মারামারি করা কুফুরী। ( বুখারী মুসলিম) কিন্তু তা বড় বা ফাইনাল কুফুরী নয়।

ছোট কুফুরী ও বড় কুফুরীর মধ্যে বিধান গত সংক্ষিপ্ত পার্থক্য:

1- বড় কুফুরী ইসলাম ধর্ম থেকে বের করে দেয় এবং সমস্ত নেক আমল নষ্ট করে দেয়। কিন্তু ছোট কুফুরী তা করে না। কিন্তু তা ঈমান কমিয়ে দেয় এবং ব্যাক্তিকে শাস্তির মেুখমুখি করে দেয়।

2- বড় কুফুর কারী স্থায়ী ভাবে জাহান্নামে থাকবে। কিন্তু ছোট কুফুরকারী জাহান্নামে গেলেও কিন্তু চিরকাল থাকবে না । আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে জান্নাত থেকে বের করে আনতে পারেন কিংবা জাহান্নামে নাও দিতে পারেন।

3- বড় কুফুর কারীর জান-মাল হালাল হয়ে যায় কিন্তু ছোট কুফুরকারীর তা হয় না।

4- বড় কুফুর কারীর সাথে শত্রুতা পোষণ করা মুমিনগণের জন্য ওয়াজিব। এদের সাথে কোন প্রকার বন্ধুত্ব, আন্তরিকতা, হৃদ্যতা ও ভালবাসা পোষণ করা কোন মুমিনের জন্য জায়েয নয় – চাই সে যত নিকটাত্নীয়ই হোক।

ছোট কুফুরীতে লিপ্ত ব্যাক্তির জন্য এসব প্রজোয্য নয়।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

مَنْ حَلَفَ بِغَيْرِ اللَّهِ فَقَدْ كَفَرَ أَوْ أَشْرَكَ

“যে আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে শপথ করল, সে কুফরি করল বা শিরক করল।” (তিরমিযী, হাকিম)

৮- ছোট কুফর না বড় ?এবং কেন? আল্লাহ বলেনঃ إِلَّا إِبْلِيسَ أَبَى وَاسْتَكْبَرَ وَكَانَ مِنَ الْكَافِرِينَ

“কিন্তু ইবলিস নির্দেশ পালন করতে অস্বীকার করল ও অহংকার করল এবং কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল। (সূরা বাকারাঃ ৩৪)