Delete
Setting
Add New Item
Menu List
Title | Content Type | Order | Action | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
{{kb_content.name}} {{kb_content.name}} | {{setValue(content_types, kb_content.content_type)}} | {{kb_content.sort_order}} | Preview Edit Edit Content | ||||||
{{kb_content.name}} | {{setValue(content_types, kb_content.content_type)}} | {{kb_content.sort_order}} | Preview Edit Edit Content | ||||||
No record |
রামাদান ২৩- ফাসেকী, জুলুম, রিদ্দাহ
আসসালামুয়ালাইকুম,
সমস্ত প্রশংসা আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলার জন্য যিনি আমাদেরকে আজকে তার অন্যতম প্রিয় আ'মাল সিয়ামের সামনে আমাদের হাজির করেছেন। সলাত ও সালাম আমাদের প্রিয় নাবী মুহাম্মাদ সল্লেল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি যিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদেরকে সেই সিয়ামের হক কিভাবে আদায় করতে হবে তা সরবোত্তম রুপে শিক্ষা দিয়েছেন।
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলার অশেষ রহমতে আমরা অবশেষে আরো একটি রমজানের সামনে এসে উপস্থিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আল্লাহ আমাদেরকে এর হক পুর্নরুপে আদায় করার তৌফিক দিন, আমীন।
এবার এই রমজানে আমরা চেস্টা করবো প্রতিদিন একটা বিষয় শিখা। সেই বিষয়টা নতুন হতে পারে আবার আমার আগে জানাও থাকতে পারে। কিন্তু আমরা চাইবো প্রতিদিন কিছু না কিছু শিখতে যার জন্য রমজান একটি গুরুত্বপুর্ন সময়।
সালাফে সালেহীন বলতেন 'যে জানে তুমি তার কাছ থেকে জেনে নাও, আর যে জানে না তুমি তাকে শিখিয়ে দাও, তাহলে তুমি যা জানতে না তা জানবে এবং তুমি যা জেনেছ তা সংরক্ষণ করা সহজ হবে।'
তাই আমি ও আমরা এই পেইজে প্রতিদিন একটা বিষয় নিয়ে ছোট করে জানবো জানাবো আ ৩০ দিনের ৩০ টি বিষয়ের সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যমে ইসলামকে নিজের জানার চেস্টা করবো , ইনশাআল্লাহ
ফাসেকী:
ফিসক মানে বের হওয়া। তবে পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর মধ্যে ফিসক বলতে ‘আল্লাহর আনুগত্ব থেকে বের হয়ে যাওয়া’ বুঝানো হয়েছে।
‘ফিসক’ কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর: ফিসক 2 প্রকার। যথা:
1- বড় ফিসক: যা মানুষকে ইসলাম ধর্ম থেকে বের করে দেয়। অর্থাত এর দ্বারা সে কাফের হয়ে যায়। (সূরা কাহাফ:50)
2- ছোট ফিসক: আর তা হলো কবীরা গুণাহে লিপ্ত হয়ো। তবে এর দ্বারা বানন্দা কাফের হয়ে যায় না। (দেখুন- সূরা নূর/4 , সূরা বাক্বারা: 196)
জুলুম:
শরীয়তের বিধান মতে জুলুম দু’প্রকার।
১) বড় জুলুম (শিরক)। যা মানুষকে ইসলামের সীমা হতে বের করে দেয় এবং এ জাতীয় জুলুমকারী চিরকাল জাহান্নামবাসী হবে।
যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ
“নিশ্চয়ই শিরক চরম জুলুম।” (সূরা লুকমানঃ ১৩)
আল্লাহ আরও বলেনঃ
وَلَا تَدْعُ مِنْ دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَنْفَعُكَ وَلَا يَضُرُّكَ فَإِنْ فَعَلْتَ فَإِنَّكَ إِذًا مِنَ الظَّالِمِينَ
“আর আল্লাহকে ছেড়ে এমন বস্তুর বন্দেগী করনা, যা না তোমাদের কোন উপকার করতে পারে, না কোন ক্ষতি করতে পারে। বস্তুত: যদি এরূপ কর তবে তুমি এমতাবস্থায় জালিমদের (মুশরিকদের) অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।” (সূরা: ইউনুসঃ ১০৬)
২) ছোট জুলুম। যা মানুষকে ইসলামের সীমা হতে বের করে না এবং এমন জুলুমকারী চিরস্থায়ী জাহান্নামবাসী হবে না।
যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
وَلَا تُمْسِكُوهُنَّ ضِرَارًا لِتَعْتَدُوا وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ فَقَدْ ظَلَمَ نَفْسَهُ
“এবং তাদেরকে (স্ত্রীদের) যন্ত্রণা দেয়ার জন্যে আবদ্ধ করে রেখ না, তা হলে সীমালঙ্ঘন করবে। আর যে ব্যক্তি এরূপ করে সে নিশ্চয়ই নিজের প্রতি অবিচার করে থাকে।” (সূরা বাক্বারাঃ ২৩১)
রিদ্দাহ:
রিদ্দাহ (মুরতাদ হওয়া বিষয়ে) الردة / মুরতাদ হওয়া . ধর্ম ত্যাগ করা
প্রশ্ন: কি করলে একজন মুসলিম মুরতাদ হয়? (রিদ্দার প্রকার সমূহ)
উত্তর: ইসলাম ভঙ্গের যে কোনও কারণ ঘটলে মুরতাদ হয়ে যায়। ইসলাম ভঙ্গের অনেক কারণ আছে; সে কারণগুলোকে 4 ভাবে ভাগ করা যেতে পারে। যথা:
1- কথার মাধ্যমে: যেমন আল্লাহকে বা তাঁর রাসূলকে গালী দেয়া, গাইরুল্লাহর কাছে দুয়া করা, ইলমে গাইবের দাবী করা, নবুওয়ত দাবী করা ইত্যাদি।
2- কর্মের মাধ্যমে: যেমন, গাইরুল্লাহকে সাজদা করা, গাইরুল্লাহর নামে পশু জবাই করা, জাদু করা, মানব রচিত বিধান দিয়ে বিচার করা, কুরআনকে মসজিদকে অপমান করা ইত্যাদি।
3- আক্বীদা-বিশ্বাস ও দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে। ব্যাভিচার, মদ, সূদ ইত্যাদিকে হালাল মনে করা, সলাত-যাকাতকে ফরজ মনে না করা, আল্লাহর সাথে শিরক করাকে জায়েজ মনে করা ইত্যাদি।
4- সংশয়-সেন্দহের মাধ্যমে। যেমন: জান্নাত-জাহান্নাম, ফেরেশ্তা, পুনরুত্থান ইত্যাদিতে সন্দেহ পোষণ করা। রাসূল স. এর রেসালাতে সন্দেহ পোষণ করা ইত্যাদি।